
মেয়েরা কী চায়? এ প্রশ্ন চিরন্তন। এর
উত্তর সম্ভবত বিধাতাও জানেন না! তবুও
এগিয়ে এসেছেন মনোবিজ্ঞানীরা,
তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনি
১২টি বিষয় যা নারীরা পছন্দ করে এবং
তাদের সঙ্গীর কাছ থেকে আশা করে।
১. সংবেদনশীলতা: সংবেদনশীল পুরুষ
সবসময়ই মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে।
বিশেষ করে বিপর্যয় বা দুঃখের সময়ে
সংবেদনশীলতা প্রকাশ করে খুব সহজেই
তাদের কাছে পৌঁছা যায়। যেমন:
কান্নার সময় টিস্যু পেপার এগিয়ে
দেয়া, একটুখানি পাশে বসা কিংবা
মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া, হাতে
আলতো চাপ দেয়া ইত্যাদি ছোটছোট
কাজও অনেক চমকপ্রদ ফল বয়ে আনতে
পারে।
২. সৌজন্য বোধ: আদিকাল থেকেই
পুরুষের সৌজন্য বোধ নারীকে আকৃষ্ট
করে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে,
নারীরা কায়িক ভাবে যথেষ্ট সক্ষম,
যেমন: একটি চেয়ার টেনে বসা
কিংবা দরজা ঠেলে ভেতরে ঢোকা
ইত্যাদি কাজ তারা অনায়াসেই
করতে পারে তবে সৌজন্য প্রকাশ করে
তার জন্য এ কাজগুলো কেউ করলে
সেটি তার ভালোলাগার স্থানে
যথেষ্ট নাড়া দেয়। এছাড়া সম্পর্কের
শুরুতে কিংবা রোমান্সের বেলায়
পুরুষের অগ্রবর্তী ভূমিকাই নারীরা
প্রত্যাশা করে।
৩. পোশাক পরিচ্ছদ: স্টাইল সময়ের সঙ্গে
পাল্টায় কিন্তু একজন পুরুষ তার
ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই পোশাক
পরিচ্ছদে কতটুকু যত্নবান বা সচেতন তা
নারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এছাড়া
একজন নারীর পছন্দ মোতাবেক পোশাক
পরিচ্ছদ করেও তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা
সম্ভব।
৪. লাল রঙ: মেয়েদের অবচেতন মন
পর্যালোচনা করে মনোবিজ্ঞানীরা
বুঝেছেন যে, লাল রঙের প্রতি
মেয়েদের একধরনের আগ্রহের অনুভূতি
কাজ করে। এক গবেষণায় দেখা যায়,
লাল পোশাকের পুরুষরা মেয়েদের
কাছে অধিক শক্তিশালী ও আকর্ষণীয়
হিসেবে গণ্য হয়। যদিও সামগ্রিক লাল
পোশাক কোনভাবেই মানানসই নয় তবে
সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিয়ে পোশাকের
বিশেষ কোনো অংশে লাল রঙের
ব্যবহার আপনাকে নারীর কাছে
আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে পারে।
যেমন: সাদা শার্টের সঙ্গে লাল টাই।
৫. যেচে উপদেশ দিতে যাবেন না: যখন
কোনকিছু তাকে বিব্রত করে তখন
আপনার কাছ থেকে উপদেশ শুনতে চায়
না, চায় আপনি তার কথাগুলো মন
দিয়ে শুনুন। যদিও ছেলেরা সমস্যা
সমাধানের বিষয়েই বেশি আগ্রহী
এবং খুব দ্রুত এ বিষয়ে মনোনিবেশ
করতে চায়, তবে এধরনের ক্ষেত্রে
মেয়েরা চায় তার সঙ্গী তার
কথাগুলো সোনার ব্যাপারেই মনযোগী
হোক। তাই, তার কথা সোনার
ব্যাপারেই বেশি মনযোগী হোন, এতে
করে পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
৬. শুধু মাথা ঝাঁকালেই চলবে না: তার
কথাগুলো শোনা যতটা গুরুত্বপূর্ণ ঠিক
ততটাই গুরুত্বপূর্ণ তার সঙ্গে অংশগ্রহণ
করা। তাই শুধু মাথা ঝাঁকানোই যথেষ্ট
নয়, কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে সে
আপনাকে বলার সুযোগ দেবে, এ সময়
তার সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করুন। এ
ধরনের মুহূর্তে উপদেশ দেয়ার ইচ্ছা
সংবরণ করা বাঞ্ছনীয়।
৭. একটুখানি কৌশলী: নিজেদের
একান্ত মুহূর্তগুলো কীভাবে কাটবে সে
বিষয়ে মেয়েরা কথা বলতে চায় কারণ
তারা সঙ্গীকে সুখী করার ব্যাপারে
আগ্রহী; আপনিও কৌশলে প্রশ্ন করে তার
পছন্দগুলো জেনে নিন এবং তা
প্রয়োগের চেষ্টা করুন। একটি সুন্দর যুগল
জীবনের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
৮. প্রশংসা করুন: মেয়েরা তার
সৌন্দর্যের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে;
তাই সে যদি নতুন কোনো পোশাক পরে,
চুল কাটে কিংবা কোনো ধরনের
সাজসজ্জা করে তবে তাকে সুন্দর
লাগছে এ কথাটি বারবার বলুন।
সবচেয়ে ভালো হয় সে আপনাকে
জিজ্ঞেস করার আগেই তার প্রশংসা
করলে কারণ, এতে করে তার প্রতি
আপনার আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ ঘটে যা
মেয়েদের অত্যন্ত পছন্দ।
৯. সম্পর্কের অবস্থা পর্যালোচনা:
নিজেদের সম্পর্কে আলোচনা করা
মেয়েদের অত্যন্ত পছন্দের বিষয়। এটি
হতে পারে পারিবারিক বিষয়,
নিজেদের একান্ত মুহূর্ত, ভবিষ্যৎ
পরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা কিংবা
সম্পর্কের প্রাপ্তি অথবা চাহিদা
সম্পর্কে আলোচনা।
১০. মুখোমুখি বসুন: মেয়েরা সাধারণত
পাশাপাশি বসার চাইতে মুখোমুখি
বসতে পচ্ছন্দ করে। মেয়েরা চায় তার
সঙ্গী তার চোখের দিকে তাকিয়ে
কথা বলুক।
১১. নাটকীয় রোমান্টিকতা: সম্পর্ক যত
নতুন কিংবা পুরাতনই হোক না কেন,
মেয়েরা সবসময়ই রোমান্টিকতা পছন্দ
করে। ফুল, মোমবাতির আলোয় ডিনার,
দুয়েক লাইন কবিতা ইত্যাদি নাটকীয়
রোমান্টিকতা মেয়েরা সাধারণত খুব
পছন্দ করে।
১২. শুধু জৈবিকতা নয় চাই আবেগ: শুধু
শারীরিক সম্পর্ক নয় আবেগ, স্পর্শ এবং
একান্ত কিছু সময় মেয়াদের কাছে
অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই শারীরিক
সম্পর্কে গড়াতে তাড়াহুড়ো করা
একেবারেই অনুচিত।