লেখাটি স্নাতক পড়ুয়া মেয়েদের উদ্দেশ্যে
শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যে যে ছেলেগুলো বাসায় বা মেচে নিয়ে গিয়ে মেয়েদের দেহ নিয়ে খেলা করে এই ধরনের ছেলেদের অধিকাংশ মেয়েরা পছন্দের তালিকায় প্রথম রাখে ! কারণ এ ছেলে গুলা লুলামু করতে জানে । ভালবাসার অভিনয় করে মন জিততে জানে । আর বিয়ের আগে দৈহিক ক্ষুধাটাও মেটাতে জানে । লুলামু করে দেহ নিয়ে খেলে সেগুলোর প্রমান রেখে দেয় এরপর চলে নিরব ধষর্ণ । যে ধর্ষণে ছেলেমেয়ের উভয়েরই সম্মতি থাকে । দুজন দুজনার চাহিদার প্রেক্ষিতে মেতে উঠে অদীম খেলায় । প্রতিদিন এরকম ধর্ষণ হচ্ছে চোখের সামনে । কিছু করার নেই করতে পারছি না । কারণ এই ধর্ষণ হচ্ছে ছেলে মেয়ে দুজনার সম্মতিতে ! কথা আছে না মিয়া বিবি রাজি তো কি করবে কাজি ঠিক সেই রকম । প্রথম দিন মেয়েটাকে বাসা বা মেচের রুমটা চিনিয়ে দিতে হচ্ছে তারপর আর মেয়েটাকে কোন কিছুই চিনিয়ে দিতে হয় না এরা নিজ দৈহিক ক্ষুধা মেটাতে চলে আসছে ঐ মেচে বা বাসায় । ভালবাসার দোহাই দিয়ে কলংকিত করছে এই পবিত্র সম্পর্কটাকে ।
.
অথচ যে ছেলেটা চার পাঁচ বছরে সম্পর্কে একটু টাচ করারও সাহস করে নি তার সাথে ব্রেকআপ হচ্ছে সামান্য ঝামেলা নিয়ে । ছেলেটার দোষ একটাই কেন সে মেয়েটাকে টাচ করল না ! কেন সে তাকে ফোনে নোংরা কথা বললো না ! কেন সে মেয়েটাকে রুম ডেটের অফার করল না ! এই গুলো ?
.
হুম মানছি ছেলেরা একটি সম্পর্কে নোংরামিতে এগিয়ে থাকে কিন্তু বর্তমানে মেয়েরাও এই বিষয়ে পিছিয়ে নেই । তারা তাদের দৈহিক জ্বালাটা মেটাতে রুমডেট করতে পিছপা হচ্ছে না ! প্রমাণচাই ? আপনার এলাকার ইউনিভারসিটি কিংবা স্নাতক কলেজের আশ পাশের এলাকায় খবর নিয়ে দেখুন এটা একটা নৈতিক আর স্বাভাবিক ঘটনা !
.
বর্তমানে অধিকাংশ মেয়েদের স্নাতক পড়ানো রিস্কি একটা বিষয় । বাবা মারা জানেও না যে তার উচ্চশিক্ষিকা পড়ুয়া মেয়ে বাইরে থেকে কি করছে । অধিকাংশ মেয়েরা এই ভুল পথে পা বাড়াচ্ছে । এই ধরনের মেয়েদের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন আপনারা যেভাবে আপনাদের দেহটাকে বিলিয়ে দিচ্ছেন বিয়ের পর আপনার স্বামীকে কি দিবেন একবার ভেবে দেখেছেন ? আপনার একটু সময়ের আনন্দের জন্য আপনি কি আপনার ভবিষত্ এর আপনজন কিংবা আপনার ভবিষত্ কে ঠকাচ্ছেন না ??
.
এরকম নীরব সম্মতিত ধর্ষণের সংখ্যা আমাদের দেশে বেড়েই চলেছে । এটা নির্মুলের একটাই উপায় মেয়েদের নিয়নত্রিত সচেতন মন মানসিকতা । আর এটা যদি নিয়নত্রণ করা না যায় তবে আমাদের শিক্ষা সমাজ ব্যবস্থার ধ্বংস অনিবার্য ।
|